প্রকাশিত: Mon, Nov 6, 2023 8:57 PM
আপডেট: Sun, Dec 7, 2025 1:00 AM

[১]গাজায় সবচেয়ে ভয়াবহ ইসরায়েলি বিমান হামলা [২]দুইটি শরণার্থী শিবিরে নিহত ৫৩ [৩]গণহত্যা বন্ধ করতে হামাসের আহ্বান

 সাজ্জাদুল ইসলা: [২] ইসরায়েল বলছে, গত ২৪ ঘন্টায় তাদের বিমানবাহিনী গাজার ৪৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে । ইন্টারনেট ও ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চালানো এ হামলা ছিল গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন সেখানে অবস্থানকারী বিবিসির একজন সাংবাদিক। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজার উত্তরের উপকূল বরাবর পৌঁছে গেছে ্এবং গাজাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে গোটা উপত্যকাকে ঘিটে ফেলেছে। সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, আনাদোলু, রয়টার্স

[৩] ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস বলেছেন, তাদের বাহিনী হামাসের শক্তঘাটি ও ব্যাটেলিয়নের পর ব্যাটেলিয়ন ধ্বংস করার মাধ্যমে হামাসকে বিলুপ্ত করতে পারবে। তিনি বলেন, গাজাকে বিভক্ত করার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরের বাসিন্দাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

[৪] কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী দুইটি শরণার্থী শিবিরে নতুন করে হামলায় অন্তত ৫৩ জন অসামরিক লোকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

[৫] গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, মাগাজি শরণার্থী শিবিরে রোববার রাতের হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়েছেন। শরণার্থীটির বাসিন্দা আরাফাত আবু মোস্তাফা বলেছেন, বিমান হামলায় সেখানকার অনেকগুলো বহুতল আবাসিক ভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ভবনে গাজার বিভিন্ন এলাকার লোকজন আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়িয়ে মোস্তফা বলেন, ‘এটি গণহত্যা। নিহতের সবাই শান্তিকামী সাধারণ মানুষ। তিনি ইসরায়েলি দাবি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এখানে কারা প্রতিরোধ  যোদ্ধা।

[৬] শরণার্থী শিবিরটি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার উত্তরে হামলা চালানোয় মনযোগ দেওয়ায় লোকজন এ শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। রোববার করাতে মধ্য গাজার বুরেজ স্কুল শরণার্থী শিবিরে আরেকটি বিমান হামলা চালানো হয়। আল-আসকা হাসাপাতালের কর্মীরা জানান, সেখানে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। শরণার্থী শিবিরটিতে ৪৬ হাজার মানুষ বাস করেন। বৃহস্পতিবারও এ শিবিরে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি জঙ্গী বিমানগুলো।

[৭] গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা শুরু করা গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে উপত্যকাজুড়ে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার ৮০০ জন  ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন  যাদের মধ্যে চার হাজারেরও বেশি শিশু। আর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি ।

[৮]  হামাস গাজায় গণহত্যার এ যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। হামাস তার বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। স্বাধীনতাকামী দলটি গাজায় পরমাণু হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েরি মন্ত্রীর মন্তব্যেরও নিন্দা করেছে। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি মন্ত্রীর এসব বক্তব্যে ফ্যাসিবাদী সরকার ও তাদের নেতারা আমাদের জনগণের ওপর ইহুদীবাদি সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান